প্রাথমিক বিজ্ঞান তৃতীয় শ্রেণি

About This Course

প্রাথমিক বিজ্ঞান তৃতীয় শ্রেণি

=== Page 3 ===
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড, বাংলাদেশ
৬৯-৭০, মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা-১০০০
কর্তৃক প্রকাশিত
[প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত]
প্রথম সংস্করণ রচনা ও সম্পাদনা
ড. জুলফিকার হাসান খান
মুহাম্মদ আনিসুজ্জামান
মোঃ মাজহারুল হক
অপূর্ব কুমার বিশ্বাস
বিজয় জব্বার
ড. মোহাম্মদ নূরুল বাশার
শিল্প সম্পাদনা
হাশেম খান
চিত্রাঙ্কন
সুমন মল্লিক
প্রথম মুদ্রণ: অক্টোবর ২০২৩
পরিমার্জিত সংস্করণ: অক্টোবর ২০২৪
ডিজাইন
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড, বাংলাদেশ
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচির
আহে চা রন ক

প্রসঙ্গকথা
প্রাথমিক স্তর শিক্ষার ভিত্তিভূমি। প্রাথমিক শিক্ষা সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যমুখী ও পরিকল্লিত না হলে গোটা শিক্ষাব্যবস্থাই দুর্বল হতে
বাধ্য | এই বিষয়টি মাথায় রেখেই ২০১০ সালের শিক্ষানীতিতে প্রাথমিক স্তরকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে | বিশ্বের উন্নত
দেশসমূহের সাথে সংগতি রেখে প্রাথমিক স্তরের পরিসর বৃদ্ধি এবং অন্তর্ূক্তিমূলক করার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। যাতে
সামাজিক ও অর্থনৈতিক স্তর এবং ধর্ম-বর্ণ কিংবা লৈঙ্গিক পরিচয় কোনো শিশুর শিক্ষার্থহণের পথে বাধা না হয়ে দাঁড়ায়।
প্রাথমিক শিক্ষাকে যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠযপুভ্ভক বোর্ড (এনসিটিবি) একটি সমদ্থিত শিক্ষাক্রম
গ্রহণ করেছে। এই শিক্ষান্রমে একদিকে শিক্ষাবিজ্ঞান ও উন্নতবিশ্ধের শিক্ষাক্রম অনুসরণ করা হয়েছে, অন্যদিকে
বাংলাদেশের চিরায়ত শেখা-শিখন মুল্যবোধকেও গ্রহণ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে শিক্ষাকে অধিকতর জীবনমুখী ও ফলপ্রসূ
করার প্রয়াস বাস্তব ভিত্তি পেয়েছে। বিশেষ করে বিশ্বায়নের বান্তবতায় শিশুদের মনোজাগতিক অবস্থাকে বিশেষভাবে
বিবেচনায় রাখা হয়েছে
শিক্ষাক্রম বান্তবায়নের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান-উপকরণ হলো Mayes | এই কথাটি মাথায় রেখে এনসিটিবি eet
মিক স্তরসহ প্রতিটি aa ও শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক প্রণয়নে সবসময় সচেষ্ট রয়েছে। প্রতিটি 57575 রচনা ও সম্পাদনার ক্ষেত্রে
শিক্ষাক্রমের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। শিশুমনের বিচিত্র কৌতৃহল এবং ধারণক্ষমতা সম্পর্কে রাখা
হয়েছে সজাগ দৃষ্টি। শিক্ষা যাতে একমুখী ও ক্লান্তিকর না হয়, বরং আনন্দের অনুষঙ্গ হয়ে ওঠে সেদিকটি শিক্ষাক্রম এবং
পাঠ্যবই প্রণয়নে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আশা করা যায়, প্রতিটি বই শিক্ষাকার্যক্রমের মাধ্যমে শিশুদের সুষম
মনোদৈহিক বিকাশের সহায়ক হবে | একই সাথে তাদের কাঙ্ক্ষিত দক্ষতা, অভিযোজন সক্ষমতা, দেশপ্রেম ও নৈতিক
মূল্যবোধ অর্জনের পথকেও সুগম করবে |
তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীর জন্য প্রণীত 'প্রাথমিক বিজ্ঞান পাঠ্যপুন্তকটি প্রণয়নকালে চতুর্থ শিল্পবিপ্রবের সন্তাবনা এবং
চ্যালেঞ্জসমূহ বিবেচনায় নিয়ে বৈশ্বিক নাগরিক হিসেবে শিক্ষার্থীকে গড়ে তোলার লক্ষ্যে পরিমার্জিত শিক্ষাক্রম
বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গির ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। বিষয়বন্ধু নির্বাচনে শিক্ষার্থীর কাছে পরিবেশ, বান্তব
অভিজ্ঞতা, বিজ্ঞানের মৌলিক ধারণা, প্রক্রিয়াকরণ দক্ষতা ও প্রযুত্তির নবতর আবিষ্কার ইত্যাদি বিষয় বিবেচনায় নেওয়া
হয়েছে। বিজ্ঞানের বিমূর্ত বিষয়গুলো সহজবোধ্য ও দৃশ্যমান করার জন্য নতুন পাঠ্যপুস্তকে পর্যাপ্ত ছবি, চিত্র, প্রদর্শন,
পরীক্ষণ ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়েছে। শিক্ষার্থীর চিন্তন দক্ষতা বৃদ্ধি এবং সক্কিয় শিখন নিশ্চিত করার জন্য পাঠ্যপুস্তকে
বিভিন্ন ধরনের গ্রাফিক অর্গানাইজার ব্যবহার করা হয়েছে।
বইটি রচনা, সম্পাদনা ও পরিমার্জনে যেসব বিশেষজ্ঞ ও শিক্ষক নিবিড়ভাবে কাজ করেছেন তাঁদের বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা
জানাই | কৃতজ্ঞতা জানাই তাদের প্রতিও যাঁরা অলংকরণের মাধ্যমে বইটিকে শিশুদের জন্যে চিত্তাকর্ষক করে তুলেছেন।
২০২৪ সালের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে প্রয়োজনের নিরিখে পাঠ্যপুন্তকসমূহ পরিমার্জন করা হয়েছে। দ্রুততার কারণে কিছু
ভুলক্রটি থেকে যেতে পারে | সুধিজনের কাছ থেকে যৌক্তিক পরামর্শ ও নির্দেশনা পেলে সেগুলো গুরুত্বের সাথে বিবেচনায়
নেওয়া হবে।
পরিশেষ বইটি যাদের জন্য সেই কোমলমতি শিক্ষার্থীদের সার্বিক কল্যাণ কামনা করছি।
অক্টোবর ২০২৪ প্রফেসর ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান
চেয়ারম্যান
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড, বাংলাদেশ

১. শিক্ষার্থী-শিক্ষকবান্ধৰ
* শিখনের বিষয়বন্ু শিক্ষার্থীর বৃদ্ধির wa বিবেচনায় রেখে বিন্যন্ত করা হয়েছে।
© বিষয়বন্ু নির্বাচনে শিক্ষার্থীর পূর্বজ্ঞান এবং 71753 জীবনের অভিজ্ঞতার উপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
* শ্রেণি উপযোগী, সহজ ও সাবলীল ভাষায় বিষয়বন্ধু বর্ণনা করা হয়েছে।
* স্পষ্ট শিরোনাম, উপশিরোনাম এবং পর্যাপ্ত রঙিন ছবি/চিত্র ব্যবহার করা হয়েছে।
* বিজ্ঞানের বিমূর্ত বিষয়গুলোকে রঙিন ছবি/চিত্র এবং যথাযথ বর্ণনার মাধ্যমে বোধগম্য উপায়ে উপস্থাপন
করা হয়েছে।
* কিছু প্রতীক ব্যবহার করে বিষয়বন্ুকে আকর্ষণীয় করা হয়েছে।
* শিশুদের আগ্রহ সৃষ্টি ও চিন্তামূলক কাজে উৎসাহিত করার জন্য দুটি চরিত্র ব্যবহার করা হয়েছে।
* প্রতিটি অধ্যায়সংশ্লি নতুন বৈজ্ঞানিক পরিভাষা রঙিন ও মোটা অক্ষরে লেখা হয়েছে।
* পাঠ্যপুস্তকের শেষে শব্দকোষ সংযুক্ত করা হয়েছে, যেখানে বিজ্ঞানের নতুন শব্দগুলোর সহজ ব্যাখ্যা দেওয়া
হয়েছে।
২. অনুসন্ধানমূলক এবং সক্রিয় শিখনে ATG প্রদান
* অনুসন্ধানমূলক, সমস্যা সমাধানভিত্তিক এবং সক্রিয় শিখনে গুরুত্ব প্রদানের জন্য প্রতিটি পাঠ একটি
মুল প্রশ্ন বা Key Question এর মাধ্যমে শুরু হয়েছে।
* প্রতিটি কাজ বা পরীক্ষণের শেষে কাজের সারসংক্ষেপ বা পরীক্ষার ফলাফল উপস্থাপন করা হয়েছে।
* সারসংক্ষেপ/ফলাফলের শেষে “আরো কিছু জানি" শিরোনামের অধীনে পর্যাপ্ত তথ্য সংযোজন করা হয়েছে।
* শিক্ষার্থীর শিখন দৃশ্যমান করা, শিখনদক্ষতা উন্নয়ন এবং সক্রিয় শিখন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয়
ক্ষেত্রে শিখন সংগঠক (গ্রাফিক অর্গানাইজার) সংযোজন করা হয়েছে।
* প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে পরীক্ষণ-সংশ্রি সহজলভ্য বিকল্প উপকরণ ব্যবহারের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
* শিক্ষার্থীর সুবিন্যন্ত এবং সুক্ষ চিন্তন দক্ষতা বিকাশের জন্য পাঠ্যপুস্তকে কোডিং বিষয়টি সংযোজন করা
হয়েছে।
৩. শিক্ষার্থীর সার্বিক বিকাশে গুরুত্ব প্রদান
* হাতে-কলমে কাজের পর্যাপ্ত সুযোগ রাখা হয়েছে যা বিজ্ঞানের বিভিন্ন প্রক্রিয়াকরণ দক্ষতা যেমন: পর্যবেক্ষণ,
পরীক্ষণ, তুলনাকরণ, পরিমাপকরণ ইত্যাদি অর্জনে সহায়ক হবে।
* শিক্ষার্থীদের যোগাযোগ দক্ষতা, প্রকাশ করার ক্ষমতা এবং ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি গঠনের জন্য দলগত এবং
জোড়ায় আলোচনামূলক কাজের প্রবর্তন করা হয়েছে।