কৃষিশিক্ষা ষষ্ঠ শ্রেণী

About This Course

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড কর্তৃক ২০১৩ শিক্ষাবর্ষ থেকে
WD শ্রেণির পাঠ্যপুস্তকরুপে নির্ধারিত
কৃষিশিক্ষা ষষ্ঠ শ্রেণী
we শ্রেণি
২০২৫ শিক্ষাবর্ষের জন্য পরিমার্জিত
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড, বাংলাদেশ

=== Page 3 ===
ws বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা-১০০০
র্ৃ প্রকাশিত
প্রকাশক কর্তৃক সর্ব সংরক্ষিত]
প্রথম সংস্করণ রচনা ও সম্পাদনা
প্রফেসর ড. মোঃ মদরুল আমিন
প্রকেসর মুহম্মদ আশরাফউজ্জামান
থ্রফেসর মোহাম্মদ হোসেন ভূঞা
প্রফেসর ড. মোঃ আনোয়ারম্ল হক বেগ
ড. কাজী আহসান হাবীব
আনোয়ারা খানম
খোন্দকার জুলফিকার হোসেন
এ কে এম মিজানুর রহমান
প্রথম প্রক : সেপ্টেম্বর ২০১২
মার্জিত সংক্ষরূণ : সেশ্টেম্বর ২০১৪
TOME : অক্টোবর ২০২৪

=== Page 4 ===
প্রসঙ্গ কথা
বর্তমানে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার উপযোগ বহুমাত্রিক। শুধু জ্ঞান পরিবেশন নয়, দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলার
মাধ্যমে সমৃদ্ধ জাতিগঠন এই শিক্ষার মুল উদ্দেশ্য | একই সাথে মানবিক ও বিজ্ঞানমনন্ষ সমাজগঠন নিশ্চিত
করার প্রধান অবলম্বনও প্রাতিষ্ঠানিক Peat | বর্তমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিনির্ভর বিশ্বে জাতি হিসেবে মাথা তুলে
দাঁড়াতে হলে আমাদের মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা প্রয়োজন | এর পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের দেশপ্রেম, মুল্যবোধ
ও নৈতিকতার শক্তিতে উজ্জীবিত করে তোলাও জরুরি |
শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড আর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা প্রাণ শিক্ষাক্রম | আর শিক্ষাক্রম বান্তবায়নের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ
উপকরণ হলো পাঠ্যবই। জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০-এর উদ্দেশ্যসমূহ সামনে রেখে গৃহীত হয়েছে একটি
লক্ষ্যাভিসারী শিক্ষাক্রম | এর আলোকে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুণ্তক বোর্ড (এনসিটিবি) মানসম্পন্ন পাঠ্যপুত্তক
প্রণয়ন, মুদ্রণ ও বিতরণের কাজটি নিষ্ঠার সাথে করে যাচ্ছে। সময়ের চাহিদা ও বাস্তবতার আলোকে শিক্ষাক্রম,
পাঠ্যপুন্তক ও মুল্যায়নপদ্ধতির পরিবর্তন, পরিমার্জন ও পরিশোধনের কাজটিও এই প্রতিষ্ঠান করে থাকে৷
বাংলাদেশের শিক্ষার স্তরবিন্যাসে মাধ্যমিক eit বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ । বইটি এই স্তরের শিক্ষার্থীদের বয়স,
মানসপ্রবণতা ও কৌতৃহলের সাথে সংগতিপূর্ণ এবং একইসাথে শিক্ষাক্রমের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অর্জনের সহায়ক।
বিষয়জ্ঞানে সমৃদ্ধ শিক্ষক ও বিশেষজ্ঞগণ বইটি রচনা ও সম্পাদনা করেছেন। আশা করি বইটি বিষয়ভিত্তিক জ্ঞান
পরিবেশনের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মনন ও সৃজনের বিকাশে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।
বাংলাদেশ মুলত কৃষি-অর্থনীতি নির্ভর দেশ | একবিংশ শতকের চ্যালেন্জকে সামনে রেখে সীমিত ভূমির সর্বোত্তম
ব্যবহার , অধিক ফসল ফলনের লক্ষ্যে লাগসই প্রযুক্তির প্রয়োগ এবং কৃষি বিষয়ক জ্ঞান-বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তিকে
কাজে লাগিয়ে আধুনিক কৃষি ব্যবস্থা গড়ে তোলার কৌশলের সাথে পরিচিত করার প্রয়াস নিয়ে
পাঠ্যপুস্তকটি প্রণয়ন করা হয়েছে। আশা করা যায়, পাঠ্যপুন্তকটি শিক্ষার্থীদেরকে কৃষির OSM ও প্রায়োগিক উভয়
দিকেই দক্ষ করে তোলার পাশাপাশি আর্থ-সামাজিক উন্নয়নেও ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে সহায়তা করবে।
পাঠ্যবই যাতে জবরদস্তিমূলক ও ক্লান্তিকর অনুষঙ্গ না হয়ে উঠে বরৎ আনন্দাশ্ররী হয়ে ওঠে, বইটি রচনার সময়
সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখা হয়েছে। সর্বশেষ তথ্য-উপাত্ত সহযোগে বিষয়বন্ত উপস্থাপন করা হয়েছে। চেষ্টা করা
হয়েছে বইটিকে যথাসম্ভব দুর্বোধ্যতামুক্ত ও সাবলীল ভাষায় লিখতে | ২০২৪ সালের পরিবর্তিত পরিছ্থিতিতে
প্রয়োজনের নিরিখে পাঠ্যপুস্তকসমূহ পরিমার্জন করা হয়েছে। এক্ষেত্রে ২০১২ সালের শিক্ষাক্রম অনুযায়ী প্রণীত
পাঠ্যপুস্তকের সর্বশেষ সংক্ষরণকে ভিত্তি হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। বানানের ক্ষেত্রে বাংলা একাডেমির প্রমিত
বানানরীতি অনুসৃত হয়েছে। WAY সতর্কতা অবলম্বনের পরেও তথ্য-উপাত্ত ও ভাবাগত কিছু ভুলক্রটি থেকে
যাওয়া অসস্ভব AT | পরবর্তী সংক্ষরণে বইটিকে যথাসম্ভব OTS করার আন্তরিক প্রয়াস থাকবে। এই বইয়ের
মানোন্নয়নে যে কোনো ধরনের যৌক্তিক পরামর্শ কৃতজ্ঞতার সাথে গৃহীত হবে।
পরিশেষে বইটি রচনা, সম্পাদনা ও অলংকরণে যাঁরা অবদান রেখেছেন তাঁদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই |
অক্টোবর ২০২৪ প্রফেসর ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান
চেয়ারম্যান
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড, বাংলাদেশ